রাজশাহীতে প্রতিবন্ধী একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি

রাজশাহীতে প্রতিবন্ধী একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি

রাজশাহীতে প্রতিবন্ধী একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি
রাজশাহীতে প্রতিবন্ধী একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি

স্টাফ রিপের্টার: শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী একমাত্র অসুস্থ সন্তানকে বাঁচাতে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে এক দম্পতি অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন; কিন্তু আর্থিক অভাব অনটনে আর পেরে উঠছেন না।

সহায়-সম্পদ যা কিছু ছিল তা এরই মধ্যে সন্তানের চিকিৎসায় ব্যয় হয়ে গেছে। এখন হৃদয়বান মানুষের আর্থিক সহায়তা ছাড়া অসুস্থ ছেলেকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়। তাই প্রতিবন্ধী এই সন্তানের মা ফরিদা ইয়াসমিন ও বাবা মো: আবু হানিফ আকুতি জানিয়েছেন, সন্তানকে বাঁচাতে আর্থিক সহায়তার।

এই দম্পতির অসুস্থ ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকের অধীনে দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসা করাচ্ছেন। কখনো বাড়িতে আবার কখনো হাসপাতালে রেখে ছেলেকে সুস্থ্য করে তুলতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আর্থিক সংকটে আর পেরে উঠেছেন না।

দেখা গেছে, এই দম্পতির একমাত্র শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলেটি কথা বলতে পারে না, হাঁটতে পারে না, বসতে পারে না, এমনকি দু’হাত দিয়ে খাবারও খেতে পারে না। পুরো শরীর অচল ও বিকলাঙ্গ। সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকে। স্বাভাবিক কোন খাবার খেতে পারে না। অপুষ্টির কারণে তার শারীরিক বৃদ্ধি থেমে গেছে। তবে তার চাহনীর মধ্যে ফুটে উঠে বেঁচে থাকার আর্তি। ছেলেটি দেখতে শিশুর মতো হলেও তার বয়স এখন প্রায় ২৮ বছর। জন্মের পর থেকেই ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে মা-বাবা চেষ্টা করে যাচ্ছেন; কিন্তু আর পেরে উঠছেন না।

ছেলেটির বাবা আবু হানিফ একজন গার্মেন্ট শ্রমিক। আবু হানিফ ও ফরিদা ইয়াসমিন দম্পতির বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার মেঘাই এলাকায়।

আবু হানিফ বলেন, শৈশব কৈশোরে যারা আমার সহপাঠী বা বন্ধু ছিল, তারা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু আমি গত ২৮ বছর ধরে আমার একমাত্র শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছি। ছেলেটির সুস্থতার জন্য একে একে সব শেষ করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, এই অসুস্থ ছেলেটির কারণে আমার মা-বাবা ও ভাই-বোন আমাকে ও আমার স্ত্রী-সন্তানকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছেন। প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে আমার স্ত্রীকে দায়ী করে পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। শেষ পর্যন্ত শূন্যহাতে উঠেছিলাম আমার এক ভাইয়ের বাড়ীতে, পরে সেখান থেকেও এই ছেলেটির কারণে বাড়ী থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর উঠেছিলাম ভাড়া নেয়া এক বাড়ীতে, সেখান থেকেও বাড়ীর মালিক বের করে দেন। সব আশ্রয় হারিয়ে শেষে একটি খাস জায়গায ঘর করে আশ্রয় নিই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রাস্তা সম্প্রসারণ করার কারণ দেখিয়ে উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে। আমি এখন এই অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে কোথায় যাবো।-বলেন আবু হানিফ।

এ অবস্থায় এই দম্পতি হৃদয়বান মানুষের সাহায্য কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : ফরিদা ইয়াসমিন, সঞ্চয়ী হিসাব নং-২০৫০-১৪৯০-২০২১-৪৬৭০৩, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি:, সিরাজগঞ্জ শাখা, সিরাজগঞ্জ। এ ছাড়া বিকাশ একাউন্ট নং ০১৭২০-৪৫৭৩১৮, ০১৭১৮-৯৯৫৮৪৬ (রকেট)।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply